আব্দুর রাজ্জাক (রংপুর) প্রতিনিধি। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় মাত্র দুই মিনিট স্থায়ী এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসল ও গাছপালা । রবিবার সকাল ৭ টার দিকে বয়ে যাওয়া আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিতে দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর সকাল ৭ টার পর হঠাৎ প্রবল দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। মাত্র দুই মিনিটের ওই ঝড়ে আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুব, খামার মোহনা ও নোহালী ইউনিয়ন চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামসহ ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি ও ডাঙ্গারহাট এলাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবার ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, আমার নোহালী ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি, ধান ও গাছ পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি সহায়তা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপকৃত হবে।
আলমবিদিতর ইউনিয়ন প্রশাসক আবতাবুজ্জামান চয়ন বলেন, খামার মোহনা ও কুতুব গণেশ এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যথাযথ কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। ইতিমধ্যেই পঞ্চাশটি পরিবারের জন্য শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জানান, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত কয়েক শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে । ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যায়ক্রমে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।”
প্রকাশক: মাহমুদুল হাসান মুহিব । সম্পাদক: দিলীপ কান্তি নাথ (ভারপ্রাপ্ত) । বার্তা সম্পাদক: সৈয়দ মোঃ সাকিবুল্লাহ বিলাল।